সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
বিএনপির যারা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হয়েছেন তারা নিজ ইচ্ছায় প্রার্থী হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদেরকে সমর্থন করবে না। এই (নাসিক) নির্বাচনে যাওয়ার বিপক্ষে আমার বক্তব্য । দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার আহবান থাকবে তারা যেনো দলের নির্দেশ মেনে নির্বাচন বর্জন করে।
গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ দৈনিক সংবাদচর্চাকে এসব কথা বলেন। এর আগে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, এ গুলো কোনো নির্বাচন নয়, মানুষের ভোটের অধিকার নেই। এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। তাহলে কি আপনারা আইভীকে ছাড় দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, আমরা সবাইকে ছাড় দিয়েছি। নৌকাকেও ছাড় দিয়েছি।
উল্লেখ্য আগামী ১৬ জানুয়ারি ইভিএম পদ্ধতিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ। বিএনপির ৫ নেতা মেয়র পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তার মধ্যে থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান , সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সাবেক এমপি মোঃ গিয়াস উদ্দিন।
নির্বাচন বর্জনের ব্যাপারে মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান গণমাধ্যমকে বলেন, আমি দলের হাইকমান্ডের সাথে কথা বলেছি। তারা নির্বাচন বর্জন করার কথা বলেছে। তাই আমরা নির্বাচন বর্জন করছি। একই কথা বলেছেন সাবেক এমপি মোঃ গিয়াস উদ্দিন।
নাম না প্রকাশ শর্তে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটির এক সদস্য সংবাদচর্চাকে বলেন , তৈমূর ওসমান পরিবারের মেয়র প্রার্থী। উনি বিএনপির প্রার্থী না। উনি যদি জেতে তাহলে রাজনীতি থাকবে। বিএনপির অধিকাংশ লোক উনির সাথে নেই।
দলীয় সুত্রের খবর মেয়র আইভীকে ঠেকাতে নানা খেলা হচ্ছে। সেই খেলায় মদদ দিচ্ছে শামীম ওসমান ও তার কিছু অনুগত নেতা । তারা বিএনপির ওই নেতাকে ম্যানেজ করেছেন। তার খেলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির অন্য নেতারা আসবেনা বলে জানা গেছে। তারা আইভীর পক্ষেই থাকছে। বিএনপির দুই সাবেক এমপির ছেলে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। তারা কাউন্সিলর নিয়েই ব্যস্ত।